ছোটগল্প- ফেরা

লিখেছেন লিখেছেন আতিকুর রহমান ফরায়েজী ২৩ মে, ২০১৪, ১১:০৫:৫৪ রাত



যখন আমার এবং ইরার বিয়ের কথা চলছিল আমি তখন সবে মাত্র অনার্স শেষ করেছি। ইরার বাবার পুরোপুরি আস্থা ছিল তার কন্যা আমার ঘরে শুখেই থাকবে। তাই দেরি না করে এই হবু বেয়াই দু’য়ে মিলে এক শুভক্ষণ দেখে আমাদের বিয়ের দিন ধার্য করলেন।

ছোটবেলা থেকেই ইরাদের বাসাতে আমার যাওয়া আসা ছিলো। ইরার বাবা এবং আমার বাবা ছোট বেলার যেমন বন্ধু আমি এবং ইরাও সেই একই। দুজনে গৃষ্মের গরমে নদীর জলে সকাল নেই দুপুর নেই গোসল করেছি। একত্রে বিদ্যালয়ে পাঠাভ্যাস করেছি। এখনো মনে দোলা দিয়ে যাওয়া একটি কথা আমার স্পষ্ট মনে আছে আমি পঞ্চম এবং ইরা তৃতীয় শ্রেণিতে। সেদিন আকাশের অবস্থা খুব একটা ভালো ছিল না। সূর্যের প্রচন্ড দগ্ধে ধরিত্রী দগ্ধ হতে হতে যখন আর পারলো না তখন জীবনদেবতার নিকট তার প্রাণ ভিক্ষা মেগ কামনা করেছিল। সেই প্রখর দগ্ধতার আবরণ ভেদ করে চারিধারে কালো মেঘে আকাশ কৃষ্ণবর্ণ ধারণ করতে বেশিক্ষণ সময় লাগলো না। শিক্ষকেরা আর যাই করতে পারুক না কেন এমন দিনে স্কুলটিকে চালাতে পারেন না। বইয়ের ব্যাগ জামা খুলে আমি বেঁধে নিলাম। সাথে ইরার বইগুলোও ছিলো। দুজনে বাড়ির পথে দে ছুট। সে বৃষ্টিতে ভিজে দুজনেরই জ্বর এসেছিল। জ্বরের অজুহাতে দুজনে স্কুল কামাই করেছি, অথচ আম্রকাননের ধারে দুজনে বসে গল্প করতে ভূলি নি। এমনি আরো কত কথা মনে দাগ কেটে আছে। মাঝে মাঝে ছোটবেলার সে দিনগুলোতে ফিরে যেতে ইচ্ছে করে। কত মধুময় ছিল ছোটবেলার সে দিনগুলো। সেই আ¤্রকানন আছে, অথচ আর বসা হয় না, গল্প হয় না, জ্বরের অজুহাত দিয়ে স্কুল ফাঁকি দেওয়া নেই।

মাঝে মাঝে সেই ইরাকে এখনো খুঁজি, পাই না। সেই ইরা আর এই ইরা আজ অনেক পরিবর্তন। ইরা বড় হয়েছে; অনেক বড়। শশুরবাড়ি যাবার মত বড় হয়েছে। ইরা একুশ আমি তেইশ। কিন্তু কখন স্বপ্নেও এই রূপসী যৌবনাকে নিজের স্ত্রীরুপে পাব একথা আগে যেমন মাথায় আসেনি তেমনি এখনও এটি ভাবতেও নিজের মধ্যে লজ্জাবোধ ক্রমশ গাঢ় থেকে গাঢ় হতে থাকে। প্রচন্ড দুঃচিন্তা এসে মাথায় ভর করলো। একদিকে বেকার জীবন অন্যদিকে বাল্যকালের বন্ধু।

সবেমাত্র অনার্স শেষ করেছি। সামনে এখনো লেখাপড়া জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় অসমাপ্ত রয়েছে। লেখাপড়া না করতাম ভালো কথা তাতে কোন দুঃখ ছিলনা, কিন্তু তীরে এসে তরী ডুবাব! এমন কথাটি ভাবতেও আমার হৃদয়ের মধ্যে হুহু বাতাস বয়ে গেল। ভেবেছিলাম ইরা অন্য মেয়েদের মতই একজন সাধারণ মেয়ে। আমি প্রতিজ্ঞাবদ্ধ লেখাপড়া শেষ না করে বিয়ের পিড়িতে বসবো না। তাতে যদি এই যৌবনাকে হারাতে আমার ভয় নেই। এরকম অসংখ্য রমনীকে পাওয়া যাবে। কথাটি বাবাকে বলার সাহস পেলাম না। বাবাকে বাঘের মত ভয় করি। তাই মাকে বলে বাড়ির সকলের অনিচ্ছাসত্ত্বেও ঢাকাই ফিরে আসি।

প্রচন্ড বৃষ্টি। সকাল থেকে বৃষ্টির কামায় নেই। ঢাকার আকাশে আজ বর্ষার মেঘের আনাগোনা। কোথাও তিলক পরিমান অংশ ফাঁকা নেই। যতদূর চোখ যায় শুধু আঁধার। টিউব লাইটের আলোয় একটি মানব ছাঁয়া অনুভব করলাম। পিছন ফিরতেই দেখি কাশেম কাকা। কাশেম কাকাকে ছোটবেলা থেকেই দেখি আসছি ইরাদের বাড়িতে। খুবই বিশ্বস্ত লোক। এই সাদামাটা রুগ্ন রেহারার লোকটিকে বাদ দিয়ে কোনদিন ইরাদের পরিাবারটিকে ধরা যায় না। ছোটবেলা থেকেই এই লোকটির চেহারার এরূপ অবস্থা দেখে আসছি। কোন পরিবর্তন নি। কোনদিন অবাকও হয়নি। কিন্তু কেন যেন আজ হতবাকের স্বরে বললাম, কাকা আপনি!? তিনি বিলম্ব না করে আমার হাতদুটি চেপে ধরলেন। তার চোখদুটোর দিকে তখন আমার নজর পড়েছিল। বাইরে বর্ষা আর তার চোখ দুটোতে ছলছল বৃষ্টির আনোগোনা। এই বিষয়টি অনুধাবন করতে আমার হৃদয় সেদিন ভূল করেনি। জীবনে প্রথমবার কারো হৃদয়ের ভাষা বুঝতে পেরে হৃদয়ের ভিতরটা খাঁ খাঁ করতে লাগলো। কে যেন মনের অতৃপ্ত কামনার তাড়নায় আমার হৃদয়টিকে দুমড়িয়ে মুছড়িয়ে শেষ করে দিচ্ছে। কাশেম কাকা বললেন, আগামী শুক্রবার মামনীর বিয়ে হয়ে যাবে, কিন্তু বিশ্বাস করো বাবা মা আমার তোমাকেই ভালোবাসে সে কথা কেউ না জানলেও আমি জানি। ছোটবেলা থেকে কোলে পিঠে করে আমিই যে ওকে বড় করেছি। তুমি ফিরে চল বাবা।

বর্ষার আকাশের মত আমার আকাশেও একগুচ্ছ মেঘ এসে দানা বাঁধতে শুরু করেছে। আমার বন্ধুদের মধ্যে কেউ কেউ সেদিন আমাকে অনুরোধ করেছিল ফিরে যাওয়ার জন্য। বলেছিল, অনেকেই তো বিয়ে করে লেখাপড়া চালিয়ে যাচ্ছে। ওদের কথায় সেদিন মনে কর্ণপাত করিনি। ভেবেছিলাম ইরা এবং আমি শুধুমাত্র ছোটবেলার বন্ধু; আর কিছুই নয়। তাই ফিরেও যাই নি। জীবনের এই বাঁকে এসে কেন যেন সেই কথাটি ভূল বলে প্রমানিত হচ্ছে। আমার চারিপাশে কেমন নির্জনতা, শূন্য শূন্য মনে হয়। বার বার কানে একটি স্বর ভেসে আসে, অতুল আমাকে ফেলে যেও না, ফিরে আস...

আমি ফিরে এসেছি। ইরার সে ডাক আমাকে আর থাকতে দেয়নি। আবার সেই আম্রকাননের ধারে বসে আছি। বুকের বাম পাশটার মত বাস্তবের বামপাশটাও আজ শূণ্য। মাঝে মাঝে ভূল করে ডেকে উঠি, ইরা সন্ধা লেগেছে, চল বাড়ি ফিরি। আমার সামান্য ভুলে আজ ইরা নেই। সে দূর, বহু দূর। যেখানে ইচ্ছা করলেও আমি পৌছাতে পারি না। তার চঞ্চলা সে দুটি আঁখি হয়তো আমার জন্য অপেক্ষা করতে পারতো, তখন তাতে দোষ ছিল না। কিন্তু আজ সে দিপ্তিময়ী আঁখির কথা মনে আনাও পাপ বোধ করি। কেননা, সে অধিকারটুকু আমারই ক্ষয়িষ্ণু মনোষত্যের ফল যাকে পরিবর্তন করা আমার জন্য দূঃসাধ্য!

১৪ বৈশাখ ১৪২১

— with Asif Jahan and 22 others.

See Translation

Photo: ফেরা - আতিকুর রহমান যখন আমার এবং ইরার বিয়ের কথা চলছিল আমি তখন সবে মাত্র অনার্স শেষ করেছি। ইরার বাবার পুরোপুরি আস্থা ছিল তার কন্যা আমার ঘরে শুখেই থাকবে। তাই দেরি না করে এই হবু বেয়াই দু’য়ে মিলে এক শুভক্ষণ দেখে আমাদের বিয়ের দিন ধার্য করলেন। ছোটবেলা থেকেই ইরাদের বাসাতে আমার যাওয়া আসা ছিলো। ইরার বাবা এবং আমার বাবা ছোট বেলার যেমন বন্ধু আমি এবং ইরাও সেই একই। দুজনে গৃষ্মের গরমে নদীর জলে সকাল নেই দুপুর নেই গোসল করেছি। একত্রে বিদ্যালয়ে পাঠাভ্যাস করেছি। এখনো মনে দোলা দিয়ে যাওয়া একটি কথা আমার স্পষ্ট মনে আছে আমি পঞ্চম এবং ইরা তৃতীয় শ্রেণিতে। সেদিন আকাশের অবস্থা খুব একটা ভালো ছিল না। সূর্যের প্রচন্ড দগ্ধে ধরিত্রী দগ্ধ হতে হতে যখন আর পারলো না তখন জীবনদেবতার নিকট তার প্রাণ ভিক্ষা মেগ কামনা করেছিল। সেই প্রখর দগ্ধতার আবরণ ভেদ করে চারিধারে কালো মেঘে আকাশ কৃষ্ণবর্ণ ধারণ করতে বেশিক্ষণ সময় লাগলো না। শিক্ষকেরা আর যাই করতে পারুক না কেন এমন দিনে স্কুলটিকে চালাতে পারেন না। বইয়ের ব্যাগ জামা খুলে আমি বেঁধে নিলাম। সাথে ইরার বইগুলোও ছিলো। দুজনে বাড়ির পথে দে ছুট। সে বৃষ্টিতে ভিজে দুজনেরই জ্বর এসেছিল। জ্বরের অজুহাতে দুজনে স্কুল কামাই করেছি, অথচ আম্রকাননের ধারে দুজনে বসে গল্প করতে ভূলি নি। এমনি আরো কত কথা মনে দাগ কেটে আছে। মাঝে মাঝে ছোটবেলার সে দিনগুলোতে ফিরে যেতে ইচ্ছে করে। কত মধুময় ছিল ছোটবেলার সে দিনগুলো। সেই আ¤্রকানন আছে, অথচ আর বসা হয় না, গল্প হয় না, জ্বরের অজুহাত দিয়ে স্কুল ফাঁকি দেওয়া নেই। মাঝে মাঝে সেই ইরাকে এখনো খুঁজি, পাই না। সেই ইরা আর এই ইরা আজ অনেক পরিবর্তন। ইরা বড় হয়েছে; অনেক বড়। শশুরবাড়ি যাবার মত বড় হয়েছে। ইরা একুশ আমি তেইশ। কিন্তু কখন স্বপ্নেও এই রূপসী যৌবনাকে নিজের স্ত্রীরুপে পাব একথা আগে যেমন মাথায় আসেনি তেমনি এখনও এটি ভাবতেও নিজের মধ্যে লজ্জাবোধ ক্রমশ গাঢ় থেকে গাঢ় হতে থাকে। প্রচন্ড দুঃচিন্তা এসে মাথায় ভর করলো। একদিকে বেকার জীবন অন্যদিকে বাল্যকালের বন্ধু। সবেমাত্র অনার্স শেষ করেছি। সামনে এখনো লেখাপড়া জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় অসমাপ্ত রয়েছে। লেখাপড়া না করতাম ভালো কথা তাতে কোন দুঃখ ছিলনা, কিন্তু তীরে এসে তরী ডুবাব! এমন কথাটি ভাবতেও আমার হৃদয়ের মধ্যে হুহু বাতাস বয়ে গেল। ভেবেছিলাম ইরা অন্য মেয়েদের মতই একজন সাধারণ মেয়ে। আমি প্রতিজ্ঞাবদ্ধ লেখাপড়া শেষ না করে বিয়ের পিড়িতে বসবো না। তাতে যদি এই যৌবনাকে হারাতে আমার ভয় নেই। এরকম অসংখ্য রমনীকে পাওয়া যাবে। কথাটি বাবাকে বলার সাহস পেলাম না। বাবাকে বাঘের মত ভয় করি। তাই মাকে বলে বাড়ির সকলের অনিচ্ছাসত্ত্বেও ঢাকাই ফিরে আসি। প্রচন্ড বৃষ্টি। সকাল থেকে বৃষ্টির কামায় নেই। ঢাকার আকাশে আজ বর্ষার মেঘের আনাগোনা। কোথাও তিলক পরিমান অংশ ফাঁকা নেই। যতদূর চোখ যায় শুধু আঁধার। টিউব লাইটের আলোয় একটি মানব ছাঁয়া অনুভব করলাম। পিছন ফিরতেই দেখি কাশেম কাকা। কাশেম কাকাকে ছোটবেলা থেকেই দেখি আসছি ইরাদের বাড়িতে। খুবই বিশ্বস্ত লোক। এই সাদামাটা রুগ্ন রেহারার লোকটিকে বাদ দিয়ে কোনদিন ইরাদের পরিাবারটিকে ধরা যায় না। ছোটবেলা থেকেই এই লোকটির চেহারার এরূপ অবস্থা দেখে আসছি। কোন পরিবর্তন নি। কোনদিন অবাকও হয়নি। কিন্তু কেন যেন আজ হতবাকের স্বরে বললাম, কাকা আপনি!? তিনি বিলম্ব না করে আমার হাতদুটি চেপে ধরলেন। তার চোখদুটোর দিকে তখন আমার নজর পড়েছিল। বাইরে বর্ষা আর তার চোখ দুটোতে ছলছল বৃষ্টির আনোগোনা। এই বিষয়টি অনুধাবন করতে আমার হৃদয় সেদিন ভূল করেনি। জীবনে প্রথমবার কারো হৃদয়ের ভাষা বুঝতে পেরে হৃদয়ের ভিতরটা খাঁ খাঁ করতে লাগলো। কে যেন মনের অতৃপ্ত কামনার তাড়নায় আমার হৃদয়টিকে দুমড়িয়ে মুছড়িয়ে শেষ করে দিচ্ছে। কাশেম কাকা বললেন, আগামী শুক্রবার মামনীর বিয়ে হয়ে যাবে, কিন্তু বিশ্বাস করো বাবা মা আমার তোমাকেই ভালোবাসে সে কথা কেউ না জানলেও আমি জানি। ছোটবেলা থেকে কোলে পিঠে করে আমিই যে ওকে বড় করেছি। তুমি ফিরে চল বাবা। বর্ষার আকাশের মত আমার আকাশেও একগুচ্ছ মেঘ এসে দানা বাঁধতে শুরু করেছে। আমার বন্ধুদের মধ্যে কেউ কেউ সেদিন আমাকে অনুরোধ করেছিল ফিরে যাওয়ার জন্য। বলেছিল, অনেকেই তো বিয়ে করে লেখাপড়া চালিয়ে যাচ্ছে। ওদের কথায় সেদিন মনে কর্ণপাত করিনি। ভেবেছিলাম ইরা এবং আমি শুধুমাত্র ছোটবেলার বন্ধু; আর কিছুই নয়। তাই ফিরেও যাই নি। জীবনের এই বাঁকে এসে কেন যেন সেই কথাটি ভূল বলে প্রমানিত হচ্ছে। আমার চারিপাশে কেমন নির্জনতা, শূন্য শূন্য মনে হয়। বার বার কানে একটি স্বর ভেসে আসে, অতুল আমাকে ফেলে যেও না, ফিরে আস... আমি ফিরে এসেছি। ইরার সে ডাক আমাকে আর থাকতে দেয়নি। আবার সেই আম্রকাননের ধারে বসে আছি। বুকের বাম পাশটার মত বাস্তবের বামপাশটাও আজ শূণ্য। মাঝে মাঝে ভূল করে ডেকে উঠি, ইরা সন্ধা লেগেছে, চল বাড়ি ফিরি। আমার সামান্য ভুলে আজ ইরা নেই। সে দূর, বহু দূর। যেখানে ইচ্ছা করলেও আমি পৌছাতে পারি না। তার চঞ্চলা সে দুটি আঁখি হয়তো আমার জন্য অপেক্ষা করতে পারতো, তখন তাতে দোষ ছিল না। কিন্তু আজ সে দিপ্তিময়ী আঁখির কথা মনে আনাও পাপ বোধ করি। কেননা, সে অধিকারটুকু আমারই ক্ষয়িষ্ণু মনোষত্যের ফল যাকে পরিবর্তন করা আমার জন্য দূঃসাধ্য!

১৪ বৈশাখ ১৪২১

বিষয়: সাহিত্য

১১২৩ বার পঠিত, ২২ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

225215
২৩ মে ২০১৪ রাত ১১:৩১
হারিয়ে যাবো তোমার মাঝে লিখেছেন : অনেক সুন্দর হয়েছে ... অপূর্ব, চমৎকার। মনে হলো আমার জীবনে গল্পটা আপনি লিখেছেন। Broken Heart
২৪ মে ২০১৪ সকাল ০৮:৩৮
172431
আতিকুর রহমান ফরায়েজী লিখেছেন : আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ
225216
২৩ মে ২০১৪ রাত ১১:৩২
শিশির ভেজা ভোর লিখেছেন : জাজাকাল্লা খায়র... অনেক ভালো লাগলো পড়ে। এক কথায় Fantastic Fantastic
২৪ মে ২০১৪ সকাল ০৮:৩৯
172433
আতিকুর রহমান ফরায়েজী লিখেছেন : ধন্যবাদ! ধন্যবাদ!
225219
২৩ মে ২০১৪ রাত ১১:৪১
বিন হারুন লিখেছেন : ইরার মতো আরেক ইরাকে খুজে নিন. অতীত সেতো অতীতই. সুন্দর লেখনীর জন্য Rose
২৪ মে ২০১৪ সকাল ০৮:৪০
172434
আতিকুর রহমান ফরায়েজী লিখেছেন : প্রেম একবার এসেছিল নীরবে, আমার দুয়ার প্রান্তে।
২৪ মে ২০১৪ সকাল ১০:৩৬
172449
বিন হারুন লিখেছেন : আবার আসিবে পবিত্র প্রেম (বিয়ের পরে) হৃদয়ের অজান্তে. Happy
০১ জুন ২০১৪ দুপুর ০১:৪৯
175658
সূর্যের পাশে হারিকেন লিখেছেন : হারুন কাকা'র ছেলে কয় কি? Love Struck Love Struck তোমার ইরার কি খবর? @বিন হারুন
০১ জুন ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:২৪
175849
বিন হারুন লিখেছেন : আমার ইরা মনেহয় এতোদিনে খিরা খাচ্ছে. Happy
০৩ জুন ২০১৪ দুপুর ০৩:২৩
176766
সূর্যের পাশে হারিকেন লিখেছেন : Day Dreaming Day Dreaming Day Dreaming
225307
২৪ মে ২০১৪ সকাল ০৮:৫৯
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : তার চঞ্চলা সে দুটি আঁখি হয়তো আমার জন্য অপেক্ষা করতে পারতো, তখন তাতে দোষ ছিল না। কিন্তু আজ সে দিপ্তিময়ী আঁখির কথা মনে আনাও পাপ বোধ করি। - এই কথাটুকুই বুঝা দরকার Applause
২৮ মে ২০১৪ দুপুর ০২:৩৪
174294
আতিকুর রহমান ফরায়েজী লিখেছেন : ধন্যবাদ #রেহনুমা_বিনত_আনিস।
225661
২৪ মে ২০১৪ রাত ০৮:৩৯
মোস্তাফিজ ফরায়েজী জেরী লিখেছেন : ভালো লাগল, লিখে যা
২৮ মে ২০১৪ দুপুর ০২:৩৫
174296
আতিকুর রহমান ফরায়েজী লিখেছেন : জেরি তোকে অনেক ধন্যবাদ।
228982
০১ জুন ২০১৪ দুপুর ০১:৫১
সূর্যের পাশে হারিকেন লিখেছেন : মা/বাবরাওত সবাই রাজি ছিলো...... Yahoo! Fighter Yahoo! Fighter ইরার ডাকে সাড়া দেয়া উচিত ছিলো.... Love Struck Love Struck আজ এই হাহাকার থাকতো না, বামপাশটা ফাাঁকাও থাকতো না.... Broken Heart Broken Heart
০৩ জুন ২০১৪ দুপুর ০২:৪৯
176740
আতিকুর রহমান ফরায়েজী লিখেছেন : আমার সে ভূলটার জন্য আজ নিরবে আঁধারের মাঝে একা বসে থাকি।
229632
০২ জুন ২০১৪ বিকাল ০৪:৫০
পিন্টু রহমান লিখেছেন : আহা, ইরা!
আমাদের ইরা!
০৩ জুন ২০১৪ দুপুর ০২:৫০
176741
আতিকুর রহমান ফরায়েজী লিখেছেন : ইরা এখন আমাদের আর নেই! সে আজ অন্য কারো।
229768
০২ জুন ২০১৪ রাত ১০:১৬
হতভাগা লিখেছেন : ০ 'তাই দেরি না করে এই হবু বেয়াই দু’য়ে মিলে এক শুভক্ষণ দেখে আমাদের বিয়ের দিন ধার্য করলেন।''

অন্যদিকে

০ ''কাশেম কাকা বললেন, আগামী শুক্রবার মামনীর বিয়ে হয়ে যাবে, .......''



# আপনার বাবা ও ইরার বাবা দুজনে বাল্যবন্ধু ছিলেন তাই আপনার ও ইরার বিয়ের ব্যাপারে একমত ছিলেন । দিনও ধার্য্য করে ফেলেছিলেন দুই হবু বেয়াই ।

সব কিছু যখন উইন উইন সিচুয়েশনে ছিল তখন তো এটা খুব একটা অসম্ভব ছিল না আপনার একটা চাকরি পর্যন্ত অপেক্ষা করার ইরার , ইরার বাবার ।

বাল্যবন্ধুর ছেলে , যার কাছে মেয়েকে দিলে মেয়ে শান্তিতেই থাকবে মনে করেছিল - সেই ইরার বাবা কি একটু অপেক্ষা করতে পারতেন না তার হবু জামাইয়ের নিজের পায়ে দাঁড়ানো পর্যন্ত অপেক্ষা করতে?

যেহেতু দুই হবু বেয়াই জীবিত ছিলেন এবং তাদের ছেলে মেয়ে ২২-২৪ বছরের মধ্যে ছিল , সেহেতু ধরে নেওয়া যায় উনারা চাকুরিরত অবস্থায় ছিলেন বা সংসারের ইনকামের জন্য লায়াবল ছিলেন ।
দুই বন্ধু তথা দুই পরিবার খুব পারতো একটা সুন্দর জুটিকে বাস্তবে রুপ দিতে তাদের বিবাহিত জীবনের শুরুর কয়েক বছর টেনে নিয়ে যেতে , যাতে তারা সুন্দর একটা স্টার্ট পেয়ে যায় ।


পোস্ট ডাবল হয়ে গেছে মনে হল
০২ জুন ২০১৪ রাত ১০:৩১
176457
আহ জীবন লিখেছেন : পেয়েও না পাওয়ার হাহাকারটা তুলে ধরাই গল্পটার মূল উপজীব্য বিষয়। কোন না কোন কারন তো থাকতেই হবে।
০২ জুন ২০১৪ রাত ১০:৩৬
176461
আহ জীবন লিখেছেন : @ হতভাগা ভাই জানিনা পোস্ট টা বাস্তব কিনা। আমি গল্প ভেবেই আপনার মন্তব্বের প্রতি মন্তব্য করেছি। অন্যায় করলে দয়া করে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।
০৩ জুন ২০১৪ দুপুর ০২:৫১
176742
আতিকুর রহমান ফরায়েজী লিখেছেন : তখন সে ভূলটুকু বোঝার ক্ষমতা আমার ছিলো না। কেননা ইরাকে আমি সবসময়ই আমার বন্ধু ব্যতিত অন্যকিছু মনে করিনি। সে ভূলের মাসুল যে আমাকে এভাবে দিতে হবে আমার জানা ছিল না।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File